আলোকে ‘সুপারসলিডে’ রূপান্তর করলেন বিজ্ঞানীরা
১৯ মার্চ ২০২৫, ০৭:২৬ পিএম | আপডেট: ১৯ মার্চ ২০২৫, ০৭:৩২ পিএম

বিজ্ঞানীরা প্রথমবারের মতো আলোকে একটি "সুপারসলিড" বস্তুতে রূপান্তর করতে সক্ষম হয়েছেন, যা একই সঙ্গে কঠিন এবং তরল। এর আগে পরমাণুর মাধ্যমে সুপারসলিড তৈরি করা সম্ভব হলেও, এবারই প্রথমবার আলো ও পদার্থকে সংযুক্ত করে এটি তৈরি করা হয়েছে।
গবেষকরা বলছেন, এই নতুন আবিষ্কার পদার্থবিজ্ঞানের জটিল বিষয়গুলো বুঝতে নতুন দিগন্ত উন্মোচন করবে। সুপারসলিড হলো এমন একটি অবস্থা যেখানে কণাগুলো একটি নির্দিষ্ট স্ফটিক গঠন ধরে রাখে, কিন্তু একই সময়ে তরলের মতো প্রবাহিত হতে পারে। এটি সাধারণ বস্তু থেকে আলাদা কারণ এতে আভ্যন্তরীণ ঘর্ষণ (ভিসকোসিটি) থাকে না।
সুপারসলিড তৈরি করতে অত্যন্ত নিম্ন তাপমাত্রা প্রয়োজন, সাধারণত শূন্যের কাছাকাছি (-273.15° C)। উচ্চ তাপমাত্রায় কণাগুলো অত্যন্ত বেশি শক্তি পায়, ফলে তারা নিয়মিত ও সুশৃঙ্খলভাবে চলাচল করতে পারে না। কিন্তু যখন তাপমাত্রা একেবারে কমে যায়, তখন কণাগুলো তাদের সর্বনিম্ন শক্তির অবস্থানে চলে যায় এবং কোয়ান্টাম বলবিজ্ঞানের নিয়ম অনুযায়ী আচরণ করতে শুরু করে।
বিজ্ঞানীরা আলো ও কোয়ান্টাম কণাকে সংযুক্ত করে "পোলারিটন" নামক কণার মাধ্যমে এই সুপারসলিড তৈরি করেছেন, যা আলো ও পদার্থের মিশ্রণ। এটি পদার্থবিজ্ঞানের গবেষণার জন্য এক যুগান্তকারী আবিষ্কার।
সুপারসলিডের গবেষণা ভবিষ্যতে কোয়ান্টাম কম্পিউটিং, সুপারকন্ডাক্টর, ঘর্ষণহীন লুব্রিক্যান্ট এবং আরও বিভিন্ন আধুনিক প্রযুক্তির উন্নয়নে সহায়ক হতে পারে। এটি ক্ষুদ্রাতিক্ষুদ্র কণা ও তাদের মিথস্ক্রিয়া বোঝার জন্য গুরুত্বপূর্ণ, যা আমাদের মহাবিশ্বের মৌলিক গঠন সম্পর্কে নতুন ধারণা দিতে পারে।
বিভাগ : আন্তর্জাতিক
মন্তব্য করুন
আরও পড়ুন

মহেশপুর বিএনপি কর্মীকে পিটিয়ে হত্যা অভিযোগের তীর জামায়াতের দিকে

সালথায় গভীর নলকূপের পানি আনতে গিয়ে হাতুড়িপেটার শিকার মুদি ব্যবসায়ী

ইনশাআল্লাহ আপনি চিন্তা করবেন না, সারাদেশের মানুষের সাথে আমার দলের নেতাকর্মীরা আপনার পাশে আছে

সিলেটে এক ঠিকাদারকে অপহরণসহ হত্যার হুমকি : আ‘লীগের এক নেতাসহ ৫ জনের বিরুদ্ধে মামলা

আনোয়ারায় বিএনপি'র মিছিলে হামলার মামলায় আটক ২

ভারতের পরিকল্পনায় ক্যান্টনমেন্ট থেকে আ'লীগকে ফেরানোর ষড়যন্ত্র: যে ভয়ঙ্কর তথ্য দিলেন হাসনাত

স্ত্রী-ছেলেসহ রনজিত ৭৯ বিঘা জমি জব্দ, ১৩৭ ব্যাংক হিসাব অবরুদ্ধ

নিরাপত্তা নিয়ে শঙ্কিত মার্কিন বিচারকরা

মাদক মামলায় নারীসহ একই পরিবারের ৩ পলাতক আসামি গ্রেফতার

এবার মার্কিন শিক্ষা বিভাগই তুলে দিতে যাচ্ছেন ট্রাম্প

সবচেয়ে সুখী দেশ ফিনল্যান্ড

যুক্তরাষ্ট্র ভ্রমণে নতুন নির্দেশনা জার্মানির

ঈদযাত্রায় রেলে বাড়বে কোচ

বিয়ের প্রলোভনে ধর্ষণের শাস্তি সাত বছর কারাদণ্ড

ফিলিস্তিনে ইসরায়েলি গণহত্যার প্রতিবাদে ঢাকায় জামায়াতের বিক্ষোভ

ডিসেম্বরের মধ্যে নির্বাচন হলে দেশ সঠিক পথে থাকবে : আমীর খসরু

শাহতলী পীর সাহেব মাওলানা আবুল বাশারের দাফন সম্পন্ন

ঐকমত্য কমিশনের ৪২ প্রস্তাবে একমত নয় এলডিপি

৯৬টি নির্বাচন পর্যবেক্ষক সংস্থার নিবন্ধন বাতিলে চূড়ান্ত অনুমোদন

পরিবেশগত দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক জোরদার করবে বাংলাদেশ-নেপাল